• ১৩ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

New Drama

বিনোদুনিয়া

বিভাব নাট্য একাডেমির নতুন নাটক

বিভাব নাট্য একাডেমি একাডেমি মঞ্চে এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে মঞ্চস্থ করলো মনোজ মিত্রের কালজয়ী নাটক সাজানো বাগান অবম্বনে বানছা। নাটকটি বানছার সুন্দর বাগানকে ঘিরে গড়ে উঠেছে।তার বাগানের উপর গ্রামের জমিদার নকরির অনেকদিনের লোভ। কিন্তু সে অনেক চেষ্টা করেও বাগানের দখল নিতে পারেনা। অবশেষে সে তার সাথে চুক্তি করলো বানছা মারা যাবার পর বাগানের দখল সে পাবে বিনিময়ে তার সারাজীবনের ভরণ পোষণের দায়িত্ব তিনি নেবেন। কিন্তু আস্তে আস্তে বানছা সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সে বাগানের দখল নেয়।একটা মঞ্চ সফল নাটক নুতন করে উপস্থাপন করা খুবই কঠিন কাজ। আর সেই কঠিন কাজকে সুচারুভাবে করেছেন বিপ্লব মুখার্জি। সম্পাদনা ও নির্দেশনার গুনে নাটকটি নুতন ভাবে দর্শকদের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে নান্টু পালের বানছা, নির্মল মৃধার মোক্তার, তারক দাসের ডাক্তার বেশ ভালো। নতুনরা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাদের আরো সাবলীল হতে হবে। সমীর সরকারের মঞ্চ ভাবনা একটা সময়কে ধরেছে যা নাটক উপযোগী। দেবাশিস চক্রবর্তীর আলো নাটকটি কে দর্শকদের দৃশ্যায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। রবিন দাসের আবহ নাটকটি কে আরো প্রাণবন্ত করেছে। সামান্য ত্রুটি গুলি শুধরে নিলে নাটকটি দর্শকের কাছে আরো গ্রহনযোগ্য হবে।

জুন ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

জীবন অধিকারী র নির্দেশনায় নাটকে ভিন্নতা

গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের নতুন প্রযোজনা অথ বৃষ মঙ্গল কথা হাসির মোড়কে বর্তমান সময়ের একটি জীবন্ত দলিল। নাট্যকার কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের অসাধারণ লেখনীকে নির্দেশক জীবন অধিকারী হাস্যরসে মালাগেঁথে এই নাটকের প্রতিটি সংলাপ কে করে তুলেছেন জীবন্ত। মঞ্চ ব্যবহার চমকপ্রদ। প্রচলিত অর্থে সেটের ব্যবহার না করে এক ছক ভাঙা আঙ্গিকে নাটকটি উপস্থাপনা করে দর্শকগণকে আপ্লুত করেছেন জীবন অধিকারী।গৌতম সরকার এর আলোক ভাবনা বেশ রুচিশীল। আস্তিক মজুমদারের আবহ সংগীত এই নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পোষাক নির্মাণ করেছেন অনুতোষ ও মহিতোষ দত্ত। সৌরভ পালের পাপেট ও প্রিয়েন্দু শেখর দাসের মুকুট অসাধারণ। অভিনতা ও অভিনেত্রীদের কোনো প্রসংসাই যথেষ্ট নয়। একঝাঁক অভিনেতা ও অভিনেত্রী মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন। দলগত অভিনয় এই নাটকের বড়ো সম্পদ। প্রদীপ কুমার সাহা, শ্রাবণী সাহা, অবিন দত্ত, অনিল কুমার মুখার্জি, স্বরূপ দেবনাথ, আল্পনা সরকার, রাখি বিশ্বাস, নিকিতা সরকার, অশোক বিশ্বাস, সুপর্ণা সাধুখাঁ, নবনীতা বিশ্বাস, সৌরজ্যোতি অধিকারী ও জীবন অধিকারী প্রত্যেকের সাবলীল অভিনয় এই নাটক কে একটি ছন্দে বেঁধে রেখেছে। আল্পনা সরকারের ডান্স কম্পোজিশন বেশ চমৎকার। সব মিলিয়ে একটা আধুনিক রুচিশীল নাটক উপহার দিলেন গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম। নির্দেশক জীবন অধিকারী বলেন যে, বর্তমান সময় আমরা হাসতে ভুলে যাচ্ছি, প্রতি মুহূর্ত যাপন করছি নানান মানসিক অবসাদে, তাই ধরণের একটি নাটক দর্শকশ্রোতা বন্ধুদের হয়তো একটু আনন্দ দেবে। নাচ, গান দিয়ে জমজমাট এই নাটকটা দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছে।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

‘পুরাতন ভৃত্য" নাটক সকল দর্শকদের মুগ্ধ করেছে

রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভৃত্যের প্রতি একটি মমতা আছে--রাজা ও রাণী নাটকের শঙ্কর, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন গল্পের রাইচরণ ইত্যাদি তাহার প্রমাণ।এই কবিতায়-লেখা গল্পটির মধ্যে পুরাতন ভৃত্য কৃষ্ণকান্তের প্রতি প্রভুর কৃত্রিম-বিরক্তি-মিশ্রিত মমতার বর্ণনা এবং অনাড়ম্বর অথচ অব্যর্থ শব্দপ্রয়োগ লক্ষ্যযোগ্য। কথ্য ভাষায় অতিপরিচিত বিষয়ের বর্ণনা পাঠককে মুগ্ধ করে। সমস্ত কবিতাটি হাস্যরসে অভিসিক্ত করিয়া শেষের কলিতে করুণরসের অতর্কিত অকস্মাৎ অবতারণা, গল্পটিকে মর্মস্পর্শী করিয়াছে। দুইটি বিপরীত প্রকৃতির রসকে আশ্চর্য অপূর্বভাবে মিশ্রিত করা হইয়াছে এই কবিতায়।এই রকম একটি কবিতাকে যখন নাটকের আকারে মঞ্চে দেখি।বাস্তবিক বিস্ময়ে অভিভূত হই। চন্ডীতলা প্রম্পটার তাঁর ২৩ তম জন্মদিনের প্রাক্কালে একাডেমিতে পুরাতন ভৃত্য নাটকের চৌষট্টি তম মঞ্চায়ন দেখে দর্শকদের উচ্ছাস, আবেগ ও ঘন ঘন হাততালির বহরে নিজেও আপ্লুত হয়ে যাই। শোনা যায় ভানু চট্টোপাধ্যায় নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তথাপি নির্দেশক নিজের মুন্সিয়ানায়, সম্পাদনায় ও কেষ্ট চরিত্রের অভিনয়ের গুনে নাটক টির স্বার্থক রূপায়ন ঘটেছে। নাটকের প্রয়োজনে কয়েকটি চরিত্রের সৃষ্টি তা যে কতোটা দরকার ছিল সেটা বোঝা যায় টানটান উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর পর।কর্তা অরূপ চৌধুরী ও গিন্নী তমসা ঘোষ প্রথম থেকেই ক্লাইমেক্স টিকে হাসির মোড়কে বেঁধে রেখেছিলেন।বাড়ির দুই চাকর নিবারণ ও কেষ্ট। একজনের প্রতি ভালোবাসা আর একজনের প্রতি বিরক্তি সুলভ আচরণ।সৌমিত্র ঘোষ ও প্রদীপ রায় ওঁদের এতোটাই স্বাভাবিক মঞ্চে আধিপত্য বিস্তারের অভিব্যক্তি ঘটিয়েছেন এককথায় অনবদ্য। তবে পুন্ডরী ও অনুকূল চরিত্রে সুরজিৎ কোলে ও কৌশিক মাল নির্দেশকের কথা ষোলোআনাই মেনে চলেন তা তাঁদের অভিনয়ে বোঝা যায়। তবে কুসুম চরিত্রে সপ্তবর্ণা আলু নাটকটি কে যে ভাবে অভিনয় দিয়ে মূল বিষয় সম্পর্কে আমাদের সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঘাত হেনেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।ডাক্তার চরিত্রে অনিমেষ পাঁজার অভিনয় সাবলীল।অয়ন রায়ের আবহ, তন্ময় চক্রবর্তী র আলো আর চঞ্চল আচার্য্য র মঞ্চ নাটকের পূর্ণতা পায়। প্রদীপ রায় এর নির্দেশনায় এই নাটকটি সকল দর্শকদের মন জয় করেছে।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"তোতা কাহিনী" ছোটদের দুর্দান্ত অভিনয় সকল নাট্যমোদি দর্শকদের মন জয় করে নেবে

চণ্ডীতলা প্রম্পটারের আয়োজনে আকাডেমি মঞ্চে নতুন প্রযোজনা তোতা কাহিনী মঞ্চস্থ হলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প। নাট্যরূপ ,সম্পাদনা ও নির্দেশনায় প্রদীপ রায়। মূলত অন্তঃসারশূন্য বাহ্যিক আড়ম্বরপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার ফাঁদে পড়ে ছাত্রদের ভয়াবহ পরিণতি দেখানো হয়েছে এই নাটকে। ব্যাঙ্গাত্মক হাস্যরস দিয়ে তোতাকাহিনী নাটক টিকে প্রদীপ রায় মঞ্চস্ত করার প্রয়াস নিয়েছেন।সঙ্গে ভাবনা ও পরিকল্পনা রাকেশ ঘোষ, গানে অভিজিৎ আচার্য্য ও কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য্ ও কোরিওগ্রাফি প্রিয়াঙ্কা ঘোষ (রায়)। নাচে গানে অভিনয়ে জমজমাট। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই অভিনয়ে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। রাজা সম্প্রীতা চক্রবর্তী, ভাগিনা-আদিত্য রায়, সেনাপতি-নীলাদ্রি রায়, পুরহিতগন - দেবজ্যোতি রায়, সত্যম ঘোষ ও রিতম পান, লিপিকারগন-অন্বেষা মুখার্জী,সৌরিমা তপাদার ও স্নেহা ঘোষ, স্যাকরা- অরূপ চৌধুরী, কমার-অনিমেষ পাঁজা, কমার গিন্নী- সপ্তবর্ণা আলু, নিন্দুকগন- আরাত্রিকা চৌধুরী, সম্মৃদ্ধি চৌধুরী ও শ্রেয়শ্রী আচার্য্য তোতা-পিয়াসা ঘোষ, কতোয়াল ; অর্নব মুখোপাধ্যায়। আলো-তন্ময় চক্রবর্তী ও মঞ্চ- চঞ্চল আচার্য্য একশ শতাংশ সফল হয়েছে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"স্বীকারোক্তি " দুজনের অনবদ্য অভিনয় সকলের মন ভরাবে

সম্প্রতি গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের প্রযোজিত নাটক স্বীকারোক্তি মঞ্চস্থ হলো কলকাতার তৃপ্তি মিত্র সভা গৃহে। নাটক যখন মানুষের মূল্যবোধকে নাড়া দেয়, নাটক যখন মানুষের মানবিক চেতনাকে স্পর্শ করে তখনই সেই নাটক হয়ে ওঠে আমার আপনার জীবনের গল্প. ঠিক এই রকম একটা বিষয় নিয়ে গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম মঞ্চস্থ করলো তাঁদের নতুন নাটক স্বীকারোক্তি। সুব্রত সরকারের অসাধারণ লেখনীতে নির্দেশক জীবন অধিকারী বাস্তব রূপ দিয়েছেন। এই নাটকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল্পনা সরকার। তিনি যে একজন দক্ষ অভিনেত্রী, প্রমান করেছেন তার অভিনয়ে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ এর দক্ষ অভিনেত্রীর তালিকায় তার নাম নথিভুক্ত হলো। তার সাবলীল অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। নির্দেশক জীবন অধিকারী দর্শকদের সাথে গল্প বলতে বলতে কখন নাটক শুরু করে দিয়েছেন দর্শকগণ বুঝতেই পারেনি। নাটকের শেষে দর্শকদের অনুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় নির্দেশকের গল্পবলার ছন্দে। কিছূ সময়ের জন্যে দর্শকমন্ডলী পৌঁছে জান তাঁদের ফেলে আসা জীবনে। জীবন বাবু নাটকে বলেন স্বপ্ন ফেরি করাই হলো তার প্রধান কাজ। নাটকে ব্রেকট, স্থানীস্ল্যাভেসকি র রীতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এখানেই এই নাটকের স্বার্থকতা। আলো করেছেন অবিন দত্ত, নাটকে বোঝাই যায়নি তার আলোর ব্যবহার দর্শকদের সাথে কখন কিভাবে মিশে গেছে। আবহ নির্মাণ করেছেন আস্তিক মজুমদার, এই নাটকে ভীষণ উপযোগী হয়ে উঠেছে তার আবহ সংগীত। সর্বোপরি এই নাটকের গল্প ও সাবলীল অভিনয় এতোই বুদ্ধিদীপ্ত সেখানে মঞ্চের ব্যবহার নিষ্প্রয়োজন। সেটা নির্দেশক জীবন বাবু অনুভব করেছেন। তিনি এই নাটকের সাথে তাল মিলিয়ে নন্দিতা বাগচীর বার্তাবহ গল্প কে শুনিপুন দক্ষতায় প্রয়গ করেছেন এই নাটকে।এখানেই এই নাটকের সার্থকতা। জীবন অধিকারী যে একজন দক্ষ অভিনেতা বারবার সেটা প্রমাণিত। নির্দেশক জীবন অধিকারী কে কুর্নিশ জানাই তার দক্ষ নির্দেশনার জন্যে। বাংলার সংস্কৃতি কে আরো একধাপ এগিয়ে রাখলেন তরুণ নির্দেশক জীবন অধিকারী।

এপ্রিল ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"খনন আদি" দুটি খুনের রহস্য ও আইনী জটিলতার লড়াই

বেলঘড়িয়া এথিকের নবতম প্রযোজনা খনন আদি অভিনীত হলো, গিরিশ মঞ্চে। নাটকটির বিষয় ভবনা ও নির্দেশনা, চরিত্র নির্মাণ ও সংলাপ- আলো- আবহ চতুষ্কোণে ২ ঘণ্টা চুম্বকের মত আকর্ষণ করে রাখে দর্শকদের, যার রেশ থেকে যায় শেষের পরেও।মূলত রহস্যের আঙ্গিকে উপস্থাপিত হলেও নাটকের শেষে রহস্য উন্মোচিত হয়না , থেকে যায় ওপেন এন্ডেড খুন হয়েছে, রথীন্দ্র প্রতাপ সিংহা,নিজের বেডরুমে।তিনি শহরের সবচেয়ে ক্ষমতা ও প্রভাবশালী ড্ন। তার প্রাসাদের নাম মহাকাব্য । তদন্তের দায়িত্ব পান শহরে নতুন পোস্টিং পাওয়া এ সি পি ইন্টেলিজেন্স সমুদ্র বর্মন। খুনের প্রধান সাসপেক্ট ব্যারিস্টার ঋষি সেন,তাকে রাখা হয় হাউস অ্যারেস্টে। কারণ ঠিক পঁচিশ বছর আগে তার একমাত্র মেয়ে ভূমিকা খুন হয়েছিল রথীন্দ্র প্রতাপের হাতে।কিন্তু মৃত্যুর অসংখ্য কারণ ছড়িয়ে চার পাশে, রথীন্দ্র এর তিন স্ত্রী,চার ছেলে,বিপুল সম্পত্তি এর মালিকানা, রিভাল গ্যাং, দক্ষিণের বিজনেস এক্সটেনশনএবং তিনি খুন হন, নিজের সুরক্ষিত বেডরুমেই। হটাৎ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এক ব্যক্তি সামনে এসে খুনের দায় ভার স্বীকার করেন। কিন্তু কেনো? তাকে এই অপরাধী কে বাঁচাতে ঋষি সেন নামেন আইনি লড়াইয়ের শেষপর্যন্ত অপরাধী কে? নাটকের সংলাপ অত্যন্ত শক্তিশালী, যা ভাবতে ও ভাবাতে বাধ্য করে। সমুদ্র বর্মণের চরিত্রে শান্তনু দাস, ঋষি সেন এর চরিত্রে দেবাশিস সেনগুপ্ত, কস্তুরী সিংহা এর চরিত্রে কাকলি মজুমদার ও ভিকি এর চরিত্রে শুভম মিত্র এর অভিনয় নাটকের মেরুদন্ড। এছাড়াও নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্র নিজের মত করে সম্পূর্ন, নতুন এক ঝাঁক তরুণ অভিনেতা মৃত্যুঞ্জয় রায়,তাপস সরকার, সুরঞ্জনা দাস,কেয়া কুন্ডু, অর্ণব দত্ত ও এষনা সেন এর কাজেও রয়েছে যত্নের ছাপ। সৌমেন চক্রবর্তী এর আলোক ভাবনা ও প্রয়োগ নাটকটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়, তিনি মঞ্চে নতুন ব্যাকরণ সৃষ্টি তে সফল। তপন বিশ্বাসের আবহ নির্মাণ ও মদন হালদার এর মঞ্চ ভাবনা সৃষ্টি কে সম্বৃদ্ধ করে।প্রথম অভিনয় এর পর এই নাটক টির আরো বেশি করে দর্শকদের মস্তকে- মননে পৌঁছানোর দাবিদার তা প্রমাণিত। ততাকথিত তারকাহীন ভাবে বেলঘরিয়া এথিকের এই ছন্দবদ্ধ নির্মাণ আরো সফল হবে, নতুন অভিনেতা দের অভিনয় কুশল আরো ধারালো হবে এই ভরসা রাখি। নাট্যকার ও নির্দেশক দেবাশিস সেনগুপ্ত র নির্দেশনায় এই নাটক সকল নাট্যমোদি দর্শকদের ভালো লাগবে।

এপ্রিল ০৯, ২০২২

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal